সোমবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০১১

এক রাতের স্বামী-স্ত্রী

একটি আন্তর্মহাদেশীয় ট্রেনে এক ব্যক্তি আর এক মহিলা একই কম্পার্টমেন্টে শোওয়ার জায়গা পেয়েছেনপ্রথমে কিছুক্ষণ উসখুস করলেও দুজনেই খুব ক্লান্ত থাকায় অল্পক্ষণের মধ্যেই তারা ঘুমিয়ে পড়লেনভদ্রলোক উপরের বার্থে আর ভদ্রমহিলা নীচের বার্থে

মাঝরাতে হঠা ভদ্রলোকের ঘুম ভাংলতিনি একটু ইতস্তত করে ভদ্রমহিলাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বললেন দেখুন কিছু মনে করবেন না, আমার এত ঠান্ডা লাগছে, আপনি কি দয়া করে আমার সুটকেস থেকে একটা কম্বল বার করে আমায় দেবেন ?

ভদ্রমহিলা উত্তরে বললেন আমার আরো একটা ভালো আইডিয়া আছেআজকের রাতের জন্য মনে করি না আমরা স্বামী আর স্ত্রী?

ভদ্রলোক খুব অবাক আর মনে মনে খুব খুশি হয়ে বললেন ওয়াও!!! দারুণ আইডিয়া!! তাহলে এখন আমার কি করা উচিত?

উঠুন আর নিজের কম্বল নিজে নিয়ে নিন

হাসি-খুশি বৌ-শালী

এক লোকের বউয়ের নাম হাসি আর শ্যালিকার নাম খুশি সেই লোক রাতের শিফটে কাজ করে বহুদিন পর খুশি দুলাভাইয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছে হাসি আর খুশি ডিনার সেরে টিভি দেখতে দেখতে একই খাটে শুয়ে পড়লো

দুলাভাই ভোর চারটার দিকে বাড়ি ফিরলোসে জানে শ্যালিকাটি বউয়ের পাশেই ঘুমোচ্ছেবাসায় ফিরে রুমে ঢুকে কেয়ারফুলি কেয়ারলেস ভাব নিয়ে শ্যালিকার পাশে শুয়ে পড়লোযেন সে ঘুমের ঘোরে এ কাজটি করছে, এমন কেয়ারলেস ভাব নিয়ে এক সময় শ্যালিকাকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে থাকেআদর পেয়ে শ্যালিকার ঘুম ভেঙ্গে যায়সে চাপা স্বরে বলে, দুলাভাই আমি খুশি...আমি খুশি.
দুলাভাই এবার চেতন হবার ভাব ধরে ফিসফিস করে বলে, আমি তো ভাবছিলাম তুমি রাজিই হইবা নাচলো পাশের রুমে যাই  

বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১০

ইংলিশ গেইম

গ্রামের সহজ সরল এক মেয়েকে বিয়ে করল এক লোক। নতুন স্বামী থাকেন শহরে। বিয়ে হলো গ্রামে। গ্রামের বিয়েতে বিশাল হৈ চৈ। যার কারনে বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন আর হলো না। বিয়ের পর বউ নিয়ে চলে এলো শহরে। শহরে এসেও কাজ হয় না। প্রতি দিনই কেউ না কেউ এসে উপস্থিত। একদিন সব ঝামেলা শেষ হলে স্বামী সকালে অফিসে যাবার আগে বউকে বলল, "আজ আমি তোমার সাথে ইংলিশ গেইম খেলব! খুব মজার খেলা, তোমার খুব মজা লাগবে।"
সহজ সরল স্ত্রী মনে করলো, শহরের মানুষ, নিশ্চই কোনো নতুন ধরনের খেলা হবে। সারাদিন পর স্বামী ঘরে ফিরে এলো। খাওয়া-দাওয়া সেরে রাতে গেল শোবার ঘরে। স্ত্রী সুধাল, "তোমার ইংলিশ গেইম কখন খেলবা?"
স্বামীর উত্তর, "এখনই।" বলেই স্ত্রীর সাথে মনের সাধ মিটিয়ে গেইম খেলল, মানে বাসর সাজাল। রতিক্লান্ত শরীরে তৃপ্তির হাসি হেসে স্বামী যখন থামলেন, তখন স্ত্রী বললেন, "এইটা তোমার ইংলিশ গেইম? এই গেম তো আমি গ্রামে প্রায় দিনই চাচাতো ভাইদের সাথে খেলতাম!" 

রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১০

আলাদিনের চেরাগ

সে এক আদ্যিকালের কথাএক রাজ্যে ছিল এক বুড়িবুড়ির খুব দুঃখতার স্বামী মারা গেছে বহু আগে, কোনো ছেলেপেলেও নেইআছে শুধু একটা ছাগলভিক্ষা করে কোনো রকমে নিজের আর ছাগলের পেট চলে।
তো একদিন বুড়ি ভিক্ষা করছেএক বাড়িতে তাকে ভিক্ষা দিল একটা প্রদীপবুড়ি ভাবল এটা দিয়ে কি করা যায়? যা থাকে কপালে ভেবে ঘষা দিল প্রদীপে।
তারপর যা হয় আর কি! এক জ্বিন এসে হাজিরবলল, "হুকুম করুনআপনার তিনটা ইচ্ছা পূরণ করব।"
বুড়ি তার প্রথম ইচ্ছা জানাল, "আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর রাজপ্রাসাদের মালিক বানিয়ে দাও।"
"যো হুকুম।" বুড়ি রাজপ্রাসাদে এসে গেল
"আপনার দ্বিতীয় ইচ্ছা কি?"
"আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর রাজকন্যা বানিয়ে দাও।"
তাই হল
"তৃতীয় ইচ্ছা কি?"
"আমার পোষা ছাগলটাকে পৃথিবীর সবচেয়ে যৌন আবেদনময় পুরুষ বানিয়ে দাও।"
বুড়ির এই ইচ্ছাও পূরণ হল
"আমি এখন মুক্ত।" এই বলে জ্বীন অদৃশ্য হল
সুদর্শন যুবক (যে কিনা আগে ছাগল ছিল) এগিয়ে এল বুড়ির (যে এখন সুন্দরী রাজকন্যা) দিকেবুড়ির নিঃশ্বাস ভারী হয়ে এলবুড়ির কানে কানে সে বলল, "আপনার কি মনে আছে শৈশবে আপনি আমাকে ছাগল থেকে খাসী করে দিয়েছিলেন???"

শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১০

টাইপিং

(এক)

ছেলে বড় হচ্ছে। ছেলের সামনে তো আর ওটা নিয়ে সরাসরি আলোচনা করা যায় নাতো স্বামী-স্ত্রী মিলে ঠিক করলো ওটাকে ওরা টাইপিং নামে ডাকবে।
দিনতো আর সমান যায় নাদুজনে লাগছে ব্যাপক ঝগড়া। মুখ-দর্শন বন্ধ, কথা বলাতো বটে, রাতে স্বামী বেচারার তো ঘুম আসে নাশুধু টাইপিং করতে ইচ্ছে করে। বাধ্য হয়ে ছেলেকে বললো, "তোর মার কাছে শোনতো টাইপিং করবে নাকি?"
স্ত্রীর তখন পিরিয়ড চলে। ছেলেকে বলল, "তোর বাবাকে বল মেশিনে কালি পড়ে।"
কি আর করা, কথায় আছে না, থাকিতে হস্ত হইয়োনা কোন নারীর।
এর পর স্ত্রীর মেশিনে কালি পড়া বন্ধ হইছে। তারও ইচ্ছা করছে টাইপিং করতে। ছেলেকে ডেকে বলল, "তোর বাপকে বল মেশিনে কালি পড়া বন্ধ হইছে। টাইপেং করবে নাকি?"
স্বামীঃ তোর মাকে বল মেশিন নষ্ট থাকায় হাত দিয়ে লিখে ফেলছি।

(দুই)

আর্মি অফিসার স্বামীঃ কি ব্যাপার হাসছো কেন?
স্ত্রীঃ আজকে তোমার কলিগ এসেছিল। তারপর টাইপিং করলো আর যাওয়ার সময় ৫০০০ টাকা দিয়ে গেল।
স্বামীঃ ওশালা রামা বোকাচোদাআমি ৩ বছর ধরে টাইপিং করে কিছু দিলাম না তোমারে আর সে একবার করে ৫০০০.....

বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১০

বোকা দেবর

অনেক দিন পর ছোট ভাই শহরে এসেছে বড় ভাইয়ের বাসায়। বাসায় বড় ভাই আর ভাবী থাকেন। দুই ভাই আবার পেটুক টাইপের। ছোট ভাই বড় ভাইকে ভয়ও পায় ভালোই। সেদিন ভাবি সুন্দর করে পায়েস রান্না করলেন। বড় ভাই অর্ধেকটা খেয়ে ফ্রিজের মধ্যে রাখতে রাখতে বললেন, "ডিউটি থেকে ফিরে এসে বাকিটুকু খাব, কেউ যেন হাত না দেয়।"
ওদিকে ছোট ভাই পায়েসের লোভ সামলাতে পারছিল না। বড় ভাই রাতে চলে গেলেন নাইট শিফট ডিউটি করতে। রাতে বেশ প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হলো। একটি রোমান্টিক মুহুর্ত। কিন্তু এই মূহুর্তে স্বামী পাশে নেই। বউ অনেক্ষণ বিছানায় ছটফট করতে করতে না পেরে ঘরের বাইরে বের হয়ে উঠানে গিয়ে বৃষ্টির জলে শরীর ভেজাল। তারপর শরীরের সব কাপড় খুলে চলে গেল দেবরের ঘরের দিকে।
দেবরের ঘরের দরজায় টোকা দিতে দেবর দরজা খুলে দিয়ে দেখে ভাবী নগ্ন হয়ে তার সামনে দাড়িয়ে আছে। ভাবি দেবরকে বলল, "এখনই সময়, যা করার তোমার ভাই আসার আগেই করতে হবে।"
দেবর বলল, "সত্যি ভাবি? তুমি খুব ভাল।" এ কথা বলে দেবর ভাবিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে রান্না ঘরে গিয়ে ফ্রিজ খুলে পায়েস বের করে সব খেয়ে নিল।

বড়দের (১৮+) কৌতুক ব্লগে স্বাগতম

আমার ‍"dirtyjokesbd" ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আশা করি আমার এই ব্লগটি আপনাদের অনেক মজা দেবে। আর পাঠকদের অনুরোধ করছি, তাদের কাছে এখানে পোস্ট করার মতো কোনো কৌতুক থাকলে অনুগ্রহ করে আমাকে মেইল করুন। আপনার নাম, ঠিকানা অবশ্যই প্রকাশ করা হবে। যদি প্রকাশ করতে না চান তবে আমাকে জানাবেন।
ধন্যবাদ।
dirtyjokesbd